দলের নেতাদের ত্রাণ বিতরণের হিসাব চেয়েছে বিএনপি
করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে দলীয় ত্রাণ বিতরণের হিসাব জানতে চেয়ে স্থানীয় নেতাদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি বিএনপির সংসদ সদস্য, গত নির্বাচনের প্রার্থী, জেলা কমিটির সভাপতি বা আহ্বায়কদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রুহুল কবির রিজভী নিজেই। দলীয় সূত্র জানায়, গত ২৪ মে থেকে এই চিঠি বিতরণ শুরু হয়।
‘করোনা মহামারির বর্তমান সঙ্কটকালে ত্রাণ তৎপরতার বিবরণ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে ওই চিঠিতে বলা হয়, 'আপনি আপনার এলাকার দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে চলমান সঙ্কট মোকাবিলায় কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, অনুগ্রহ করে সেই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এই চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। '
চিঠি প্রাপ্তির কথা জানিয়ে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, হ্যাঁ, আমি চিঠি পেয়েছি। বিশ্বব্যাপী এই প্রাণঘাতী করোনা মহামারিতে আমি গোপালগঞ্জ জেলায় অন্তত চার শতাধিক পরিবারকে সহায়তা করেছি। এটাকে ত্রাণ বলা যাবে না। কারণ, আমি আমার নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছি। পরবর্তীতে আরও সহায়তা করা হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তত ২০ হাজার পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। যাতে আনুমানিক খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও বিতরণ করা হবে। সময় মতো দলকে পূর্ণাঙ্গ হিসাব জানানো হবে।
কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, এক যুগ ধরে আমাদের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। পাবলিকলি সেভাবে আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে পারিনি। আমাদের নেতাকর্মী যারা আছেন তাদের সাধ্য মতো সহযোগিতা করে যাচ্ছি।'
ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভােকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, আমার এলাকায় আমি অন্তত সহস্রাধিক পরিবারে খাদ্য সহায়তা করেছি। আগামীতে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। করোনা মোকাবিলায় আমরা মানুষের পাশে আছি।
কেএইচ/এনএফ/জেআইএম