ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী লকডাউন তুলে দেয়ার পক্ষে সাফাই গাইছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

যেখানে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অবসান ঘটিয়ে পাঁচ-ছয় সপ্তাহ পর লকডাউন তুলে নিয়েছে, সেখানে সেই উদাহরণ টেনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লকডাউন তুলে দেয়ার পক্ষে সাফাই গাইছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো মহান মে দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণিকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যখন ক্রমাগত জটিল রূপ নিচ্ছে তখন দেশের শিল্প-ব্যবসায়ের মালিকরা তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে জনগণের জীবন ও জীবিকা উভয়কে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে গামেন্টস শিল্প মালিকদের চাপে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে দোকান মালিকরা বিপণিবিতানসমূহ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয় যে, পুঁজির ধর্ম মুনাফা খোঁজা এবং তার জন্য পুঁজির মালিক নিজের গলায় ফাঁস দিতেও দ্বিধা করে না, সেখানে তাদের এই মুনাফা লোভের জন্য জনগণকে জিম্মি করা কেন, শ্রমিকদের নিশ্চিত আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া কেন? যুক্তরাষ্ট্র করোনা পরিস্থিতির এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করেছিল বলেই সেখানে মৃত্যুর মিছিল চলছে, আর ভিয়েতনাম কঠোর লকডাউন করায়, আক্রান্তদের বিচ্ছিন্ন করায় সেখানে একটিও মৃৃত্যুও ঘটেনি।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, গার্মেন্টস শিল্পসহ শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এভাবে খুলে দেয়া কেবল অবিবেচনা প্রসূতই নয়, জনগণের জীবনকে জিম্মি করার শামিল।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণার পরও বিজেএমইএ, বিকেএমই এপ্রিল মাসে শ্রমিকদের ৬০% ভাগ বেতন দেয়ার জন্য শ্রমিকদের রাজি হতে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে ছুটির মধ্যে লে-অফ ছাঁটাই সরকার নিষিদ্ধ করলেও নির্বিবাদে তা করে যাচ্ছে। যেসব কারখানা খোলা হয়েছে সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, এই অবস্থায় ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ সর্বনিম্ন পর্যায় না পৌঁছানো পর্যন্ত কেবল হটস্পটই নয়, সারা দেশে কঠোর লকডাউন অব্যহত রাখার এবং কোনো অজুহাতে তা শিথিল না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির সামাল দেয়া হলে এ দেশের কৃষক-শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষ তাদের পরিশ্রম দিয়ে অর্থনীতির চাকাকে আবার ঊর্ধ্বমুখী করবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় মহান মে দিবসের ১৩৪ তম বার্ষিকী ও দেশের করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সাম্পদক ফজলে হোসেন বাদশা।

আলোচনায় যুক্ত হন পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, নজরুল ইসলাম হক্কানী ও আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।

এইউএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ