লিটনের গ্রেফতারে আওয়ামী লীগে স্বস্তি
বহুল আলোচিত গাইবান্ধার সংসদ সদস্য ও শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করায় স্বস্তি ফিরেছে সরকার দলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ শিবিরে। দলটির নেতারা মনে করছেন, এমপি লিটনের ওই ঘটনায় গোটা সংগঠনই বিব্রত। লিটন গ্রেফতার হওয়ায় সংগঠন ও সরকারের ভাবমূর্তি ফিরে আসবে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে এমপি লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে তাকে গাইবান্ধার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এমপি লিটনের গুলির ঘটনা আমাদের জন্য বিব্রত করেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ঘটনা কোনো দলের জন্যই সুখকর নয়।
তিনি বলেন, লিটনকে গ্রেফতারের পর দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকবে বলে মনে করি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন মনে করেন, লিটনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকার আইনের শাসনকে আরেকবার প্রতিষ্ঠা দিলো।
আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন। এরপরেও সরকার এর দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করি। এমপি লিটনকে গ্রেফতার করে সরকার তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। নিজ দলের সংষদ সদস্যকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তার সমালোচকদের জবাব দিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি লিটনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রাজনীতি করে। বিষয়টি বিচারধীন। লিটন দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন অপরাধে সংগঠন কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে গঠনতন্ত্রে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই লিটনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ভোরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এমপি লিটনের ছোড়া গুলিতে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন সৌরভ (৮)।
শিশু সৌরভ বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর দিন সৌরভের বাবা এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এএসএস/বিএ