করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন পেছানোর প্রয়োজন নেই : রবি
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জনগণকে সচেতন করছে। আমিও প্রার্থী হিসেবে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি। যে পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতি আছে তাতে নির্বাচন পেছানো বা স্থগিত করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
মঙ্গলবার ধানমন্ডির কেয়ারী প্লাজার সামনে থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচন স্থগিত করে সেটা কি আপনি কিভাবে দেখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে রবি বলেন, ইসি যদি নির্বাচন স্থগিত করে তাহলে জনগণ আহত হবে। নির্বাচনের তিন দিন বাকি। এরমধ্যে যদি করোনায় জনজীবন ঝুঁকিতে চলে যায়। জীবনের চেয়ে কোনো কিছু বড় নয় তখন সে পর্যায়ে দেখা যেতে পারে। স্কুল-কলেজের ব্যাপার আর নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ভিন্ন রয়েছে। ১০-১৫ দিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গেলে সমস্যা হবে না। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করে শপথ নিতে হবে।
এর আগে সকালে ধানমন্ডি ২৮ এর নজরুল ইন্সটিটিউট এর পাশে ছাত্রদলের একটা গ্রুপ ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে গেলে সেখানে তাদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে ভোটার স্লিপ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে রবি অভিযোগ করে বলেন, ১৬ ও ১৮ নং ওয়ার্ডে গতকাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার দুই কর্মীকে হামলা করে আহত করেছে। আমার দুই কর্মী শাহাবুদ্দিন মোস্তফাকে বেদম মারপিট করে এবং হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি। তারা বলেছে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আপনার কোন শঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশঙ্কা পুরো ভোট ব্যবস্থার উপরে আছে। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনগণের আশঙ্কা রয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিরও আছে। আমরা বারবার বলে আসছি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, হবেও না। এখন মানুষ সেটা দেখছে, মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ ভোট বিমুখ হয়েছে। অতএব জনগণের অনাস্থা রয়েছে। দল হিসেবে আমাদের অনাস্থা রয়েছে। তবে আমরা আশার জায়গার শুরু করতে চাই। ভোট ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে কোনো জাতি ভালো থাকেনি। গণতন্ত্র ধ্বংস করে কোনো দেশের উন্নয়ন হয়নি। একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় জনগণের কল্যাণ হতে পারে না। আমরা মনে করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। ইসি সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে থেকেই সূচনা হতে পারে। সত্যি হলে বিগত দিন সরকার যা করেছে মানুষ তা ক্ষমা করে দেবে। আমার দল বিএনপিও ক্ষমা করে দিতে পারে। আমিও প্রার্থী হিসেব স্বাগত জানাতে পারি। সেটি যদি না হয় সরকার ঘৃণিত হবে, এরপর জনরোষের শিকার হবে।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সৈকত, ধানমন্ডি থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কায়সার, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কেএইচ/এসএইচএস/এমএস