রায় ফাঁস: সাকার স্ত্রী ও ছেলের আত্মসমর্পণ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে তারা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি নজরুল ইসলাম শামীম।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জামিন আবেদেন বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ২৮ আগস্ট সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় আদালত।
আসামিদের মধ্যে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে ছাড়াও রয়েছেন, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, সাকার ম্যানেজার একেএম মাহবুবুল হাসান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ফারহাত কাদের চৌধুরী, হুমাম কাদের চৌধুরী ও মেহেদী হাসান পলাতক ছিলেন। ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, একেএম মাহবুবুল হাসান, ফারুক হোসেন ও নয়ন আলী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বর্তমানে পলাতক থাকলেন শুধু মেহেদী হাসান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত বছরের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ফারুক ও নয়ন এবং ব্যারস্টার ফখরুলের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদীকে আসামি করা হয়েছিল।