ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদাকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে না : খসরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে না পারলে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্তিতে তার মুক্তি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কারাবরণ, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা- ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, বাকস্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেয়ার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমরা যখন বিচার চাইছি, অনেকে বলেছে- আপনারা বিচার পাবেন না। আমরা যখন আইনি ব্যবস্থায় গিয়েছি দেশের মানুষ বলেছে, আপনারা বিচার পাবেন না। বন্ধুগণ আজকে মনে রাখতে হবে- বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে না।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি- কেউ রাস্তা ছেড়ে যাবেন না। যতদিন আমরা গণতন্ত্রের মাকে আমাদের মাকে মুক্ত করতে না পারব ততদিন আমরা রাস্তায় থাকব।

খসরু বলেন, বন্ধুগণ- এই বিশাল জনসভায় উপস্থিত যারা হয়েছেন, আমি নিশ্চিত আপনাদের প্রায় সবাই সিটি নির্বাচনের কার্যক্রমের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত ছিলেন। মিছিল করেছেন। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে নির্বাচনের সময়। মিডিয়াতে দেখেছি, তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা শহরে মিছিল করেছে। কিন্তু সেই হাজার হাজার মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। কেন যায়নি? বিএনপির পক্ষে ধানের শীষের পক্ষে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় ছিল। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে যায়নি।

তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে এই কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিশ্বাস করে না ঢাকার মানুষ। এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢাকার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জ্যেষ্ঠ নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শাসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, ফজলুর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন এবং তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য দেন। মঞ্চে থাকা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বক্তব্য দেননি।

সমাবেশে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আতাউর রহমান ঢালী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শ্যামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, শিরিন সুলতানা, এহছানুল হক মিলন, এম এ মালেক, মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নিপুণ রায় চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/বিএ/এমকেএইচ