ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা স্থিতিশীল
শ্বাসকষ্টের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আহসান।
তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল, প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল, ওষুধ দিয়ে এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হবে কি-না, জানতে চাইলে অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, ‘এটা সময়ের ব্যাপার। তিনি (ওবায়দুল কাদের) ভালো অবস্থায় ছিলেন। কর্ম অবস্থায় থাকলে স্ট্রেস হয়। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে স্ট্রেসের কারণে। তিনি আশঙ্কামুক্ত। হার্টের অবস্থাও ভালো। তবে চিকিৎসার জন্য লম্বা সময় এখানে থাকতে হতে পারে। আগেও আমাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা হতে পারে, তাই রেস্টে (বিশ্রামে) রাখা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা বলে দিবে তাকে কোথায় নিতে হবে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি অবস্থার অবনতি হয় বলে দেব বিদেশে নেয়া হবে কি-না। এ ব্যাপারে তিনি সব উদ্যোগে নিয়ে রেখেছেন। যখন যে প্রয়োজন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলির সভার মূলতবি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ওবায়দুল কাদের সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে পৌঁছান। কার্যালয়ে প্রবেশের কিছু পরেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তখনই চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়।
হাসপাতালে আওয়ামী লীগের যেসব নেতৃবৃন্দ ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে এসেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, এস এম কামাল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামূল হক শামীম।
এফএইচএস/এমএসএইচ/এমএস