ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

আমার প্রধান দায়িত্ব কালুরঘাট সেতুর কাজ দৃশ্যমান করা : মোছলেম

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে ঘোষণাটি আগামীতে কার্যকর হবে। আমার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হবে চট্টগ্রামবাসীর জন্য আগামী এক বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কাজ দৃশ্যমান করা। এছাড়া নগরের যে অংশটি এ আসনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে, সেখানে কয়েকটি ওয়ার্ড অনেক পরে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেখানে যাতে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে যায়, সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সেই চেষ্টা আমি করব।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৭০টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের বিএনপিপ্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ হচ্ছে কালুরঘাটের জড়াজীর্ণ সেতু। প্রধানমন্ত্রী মানুষ পারাপার ও যান চলাচলের জন্য যে দ্বীতল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে সে সেতুর নির্মাণকাজ দৃশ্যমান হবে। দক্ষিণ কোরিয়া এখানে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা, এলাকার মানুষ আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় থেকে এ এলাকায় বরাদ্দ বাড়ানো ও বোয়ালখালীতে একটি অর্থনৈতিক জোন তৈরিতে আমাদের পদক্ষেপ থাকবে। বোয়ালখালীর অনুন্নত এলাকাগুলোতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়ে দেয়ার জন্য আমি ভূমিকা রাখব। সুপেয় পানি সরবরাহ ও পানি সমস্যা সমাধানে একটি উদ্যোগ থাকবে। সেই উদ্যোগকে আমি এগিয়ে নিয়ে যাব।’

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমি সার্বিকভাবে বলব, আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে থাকব। আমি জীবনে কখনও মূল ধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার দরজা সকলের জন্য খোলা থাকবে। সকল মত-পথের লোক, এই এলাকার উন্নয়নের জন্য, এই এলাকার কল্যাণের জন্য তারা আমাকে সুখে-দুঃখে পাবে।’

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যারা আগুনসন্ত্রাস করেছে, যারা দীর্ঘদিন এলাকায় আসেনি তারা অপপ্রচার চালানোর জন্য বিভিন্ন অভিযোগনামা দিয়েছেন। আপনারা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করেছেন আজকে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাব।’

ভোটের হার মাত্র ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকে। এর পরেও মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নতুন হওয়ায় এর ব্যবহার অনেকের কাছে নতুন। তবু ইভিএমে ভোট দিতে কারও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’

ইভিএম প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বলেন, ‘আজকে ইভিএমে ভোট হওয়ায় এখানে অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। কোথাও কোনো সংঘাত হয়নি। আমি আজকের ফলাফলে খুশি হয়েছি। আজকে এই ভোটে জনমতের প্রতিফলন সঠিকভাবে হয়েছে। এজন্য আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আবু আজাদ/এসআর/এমকেএইচ