লিডার ইজ নেভার রঙ : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘মনে রাখতে হবে, লিডার ইজ নেভার রঙ, লিডার ইজ অলওয়েজ কারেক্ট। সবার মতামত নিয়ে কাজ করবো, তবে দেশ ও দলের স্বার্থে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বুধবার বিকেলে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পার্টির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জিএম কাদের বলেন, ‘নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। নিজেদেরকে শক্তিশালী করা হবে আমাদের আগামী দিনের রাজনীতি। জনগণ কী চায় সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে প্রতিবাদ কিংবা দাবির প্রয়োজন হবে, সেখানে সেভাবে কাজ করবেন। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবেও সেভাবে কর্মসূচি দেব। আমরা দেশবাসীর চিন্তা করছি। আমরা যদি সকলে এক থাকি, তাহলে সব সম্ভব। আর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২৭ বছর ক্ষমতার বাইরে, এই সময়ে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি কখনও এককভাবে, কখনএ যৌথভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা কাউকে দোষ দিই না। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে হামলার শিকার হতে পারে। আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। জাতীয় পার্টি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা যে আলোয় উদ্ভাসিত করবো, সেই আলোয় আলোকিত হবে দেশ।’
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পার্টির জন্ম হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করার গণতন্ত্রের জন্য জাপার জন্ম। জাপা শুধু গণতন্ত্রের পার্টি নয়, মানু্ষের ভাগ্য উন্নয়নের পার্টি। আমরা ক্ষমতায় যাব, যদি আমাদের মধ্য শৃঙ্খলা ও ঐক্য থাকে। আর যদি মানুষের কাছে যেতে পারি। মানুষ পরিবর্তন চায়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান বলেন, আগের দিনে সবকিছু ধুয়ে মুছে, নতুন করে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে চাই। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিতে চাই। সংগঠন শক্তিশালী না হলে দুই পয়সার দাম নেই আপনার। মনে রাখবেন দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না।
সভায় জাপার সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যের বিকল্প নেই। আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্য আরও বক্তব্য রাখেন কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাড. সালমা ইসলাম, সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, ঢাকা উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী, এটিইউ তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ইসহাক ভূইয়া প্রমুখ।
এইউএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ