ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে

প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম তথা স্থায়ী কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের চিন্তা ভাবনা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রবীণ অনেক নেতাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও তাদেরকে নিয়ে বিকল্প চিন্তা করছেন তিনি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, লন্ডন থেকে ফিরেই স্থায়ী কমিটির বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবেন বেগম জিয়া। চলতি বছরের শেষ দিকে কাউন্সিল করার চিন্তা-ভাবনা থেকেই নীতি নির্ধারণী ফোরাম নিয়ে বেশ তৎপর তিনি।

সূত্র জানায়, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিল করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এতে পুরো দলকে ঢেলে সাজানো হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারমান তারেক রহমানের আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির দুই দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে আন্দোলন থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন তারা কালো তালিকায় স্থান পাচ্ছেন।

বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিলের পর দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পান প্রয়াত নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ তিনি মারা যান। এরপর দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে ভারমুক্ত করা হয়নি।

আসন্ন কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারমুক্ত করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কয়েকজন নিষ্ক্রিয়। ফলে দলের কোনো কার্যক্রমে তারা অংশ নিচ্ছেন না। ড. আর এ গনি, বেগম সরোয়ারী রহমান ও শাসমুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ।

এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও দুর্নীতি মামলায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমানে কারাগারে আছেন। আর মির্জা আব্বাস এখনো আত্মগোপনে রয়েছেন। যদিও দাবি করা হচ্ছে নিজ বাসাতেই তিনি অবস্থান করছেন।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব করা হলে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নাম মোটামুটি নিশ্চিত। এছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম-মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হবে।

ছাত্রদলের প্রাক্তন নেতাদের নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চিন্তা-ভাবনাও চলছে। এ ছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবদক দল, মহিলা দলও আপাদমস্তক পরিবর্তনের আওতায় আসছে।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর দল পুনর্গঠন করে বিএনপি। ২০০৯ সালের জুন মাসে এক সঙ্গে ৭২টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ওই বছর ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল।

পরের বছর জানুয়ারিতে গঠন করা হয় ৩৮৬ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি। তিন বছর মেয়াদী কমিটির সময় আড়াই বছর আগেই শেষ হয়েছে। এর আগে দুই দফা কাউন্সিল করার প্রস্তুতি নিলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে শেষপর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নিজেদের জায়গা থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।

তারপরও বিএনপি চেয়ারপারসন নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সবাই এটা মেনে নেবেন বলে দাবি করেন তিনি।

এমএম/একে/পিআর