দেশে ফিরেই চমক দেখাবেন খালেদা
লন্ডন সফররত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুর কারণে তাকে ছাড়াই লন্ডনে পরিবারের অন্যদের নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। তিনি লন্ডনের কিংসটনে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এছাড়া সফরকালে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও অংশ নেবেন তিনি।
খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশে দ্রুত একটি নির্বাচন দরকার বলে বক্তব্যও দিয়েছেন। পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দল পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ আন্দােলনের রুপরেখা চূড়ান্ত করতে ইতোমধ্যেই দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন খালেদা জিয়া।
অতীতের আন্দােলনের ভুল চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ আন্দোলনে কিভাবে সফলতার মুখ দেখা যায় সেই পরামর্শও নিচ্ছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে।
জানা গেছে, দেশে ফিরেই বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেবেন খালেদা জিয়া। এক্ষেত্রে দলের পুনর্গঠনের বিষয়টি আন্দােলনের চেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে আসবে। পাশাপাশি তরুণ কয়েকজন নেতাকে শীর্ষপদ দেয়ার ঘোষণা দিতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম-মহাসচিবসহ নির্বাহী কমিটির প্রতিটি পর্যায় থেকে নিষ্ক্রিয়দের বাদ দেয়ার ঘোষণা দিতে পারেন খালেদা জিয়া। এদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অপক্ষোকৃত রাজপথে পরীক্ষিত তরুণ, যোগ্য ও মেধাবীদের সামনে নিয়ে আসবেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লন্ডন বিএনপির একজন নেতা জানিয়েছেন, কঠিন সময় অতিক্রম করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি। এ মুহূর্তে জেলে থাকা নেতা-কর্মীদের জামিনে মুক্ত করাই দলটির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এর পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করাই মূল চ্যালেঞ্জ। বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে দলের শীর্ষ দুই নেতার (চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান) আলোচনায় এগুলোই স্থান পাচ্ছে।
এমএম/একে