ছাত্রদলের কাউন্সিলে নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকারকে দুষলেন মোশাররফ
বিএনপিকে রাজনীতি করতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা আমাদের দলকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুসংগঠিত করছি। এজন্য যে কাউন্সিল করা দরকার সেই কাউন্সিল করতে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। আপনারা দেখেছেন, ছাত্রদলের যেই কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল সেটাও কোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্বৈরশাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মা, মাদার অব ডেমোক্রেসি।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া স্বৈরাচারকে হটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই জন্য আজকে যারা ক্ষমতায় তারাও এই ব্যাপারে ভীতু। এই জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি হয়ে গেছে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) এক তরফা নির্বাচন করার জন্য আমাদের নেত্রীকে জেলে নিয়ে রেখেছেন। নেত্রীর কথা মতো আমরা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সেই নির্বাচনে ৮০ ভাগ লোক ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। তখনই ২৯ ডিসেম্বর রাতে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গেল। গণতন্ত্রে পক্ষে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ বার বার প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। আজকে প্রধান বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্র; আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিফ বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শরিয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ন আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস