অবৈধ নয়, নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন জিয়া : মোশাররফ
নিজেদের দোষ ধামাচাপা দিতে সরকার প্রধানসহ তাদের দলের নেতারা নানা জায়গায় আবোল-তাবোল বক্তব্য রাখছেন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অবৈধ নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।’
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে নাইট এঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।
মোশাররফ বলেন, এই সরকারের নেতারাসহ সরকার প্রধান নানাভাবে নানা জায়গায় আবোল-তাবোল বক্তব্য রাখছেন। কোনো কারণ ছাড়াই গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শহীদ জিয়াউর রহমানকে কটূক্তি করেছেন। তিনি বলেছেন- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নাকি অবৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৮ সালের জুন মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণ ভোট দিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগের মতো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি করে নয় তিনি এদেশের জনগণের ভোটের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
তিনি বলেন, যারা শহীদ জিয়াউর রহমানকে অবৈধ বলেন তাদের মনে দুর্বলতা রয়েছে। এই সরকার অনির্বাচিত, রাতের অন্ধকারের ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। যেহেতু তারা অবৈধ তাই নিজেদের দোষ অন্যের ওপরে চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা আজ যে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে সেটিকে তারা ধামাচাপা দিতে চায়। নিজেদের দোষ অন্যের উপর চাপাতে এই কাজটা আওয়ামী লীগ সবসময়ই করে। বাকশাল করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। ২৯ ডিসেম্বর রাতে আবারো তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। বিএনপির রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, 'আজকে আমরা যখন মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছি তখন গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি। এই ধরনের মামলায় যদি কেউ সাজাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে হাইকোর্ট থেকে সাত দিনের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করে থাকেন, কিন্তু খালেদা জিয়া আজকে দেড় বছরের উপরে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কারাগারে নির্যাতিত হচ্ছেন। তাই আজকে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকল নেতাকর্মীদেরকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে দেশে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।'
মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায় আর এই মুক্তি এনে দিতে পারে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা। তাই আজকে মহিলা দলের ওপর বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। আপনারা যে যে অবস্থানে আছেন আগামী দিনে আপনারা প্রস্তুত থাকবেন এদেশে স্বৈরাচার সরকার অতীতে টিকেনি এবারও টিকবে না। সময় আসছে জনগণ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এসএইচএস/পিআর