ঢাবিতে গোপনে শিক্ষার্থী ভর্তির খবরে বিস্মিত খোকন
ডাকসুর সাবেক জিএস ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রাক্কালে ঢাবি কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে শাসক দলের ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রীকে গোপনে ছাত্রত্ব দেয়ার ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে আমরা বিস্মিত হয়েছি।’
সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
খোকন বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তার সহযোগীরা জাতীয় নির্বাচনের বেলায় হুদা কমিশনের মতো যে আচরণ জাতি প্রত্যক্ষ করেছে- ডাকসু নির্বাচনেও তার প্রতিফলন হবে বলে আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। দলদাস মনোভাবাপন্ন ভিসি আক্তারুজ্জামানের পক্ষে যে অবাধ-সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় আমরা সে কথা আগেই বলে ছিলাম তা প্রমাণিত হলো। ডাকসু’র মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানকে ঢাবি ভিসি আক্তারুজ্জামান ও তার অনুসারী অনুগতরা যেভাবে কলঙ্কিত করেছিল তা ইতিহাসের একটি লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ হয়ে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ডাকসু’র হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্যে বর্তমান ডাকসু বাতিল করে পুনরায় নতুন করে নির্বাচন দেয়া ছাড়া আর বিকল্প নেই। তবে তার আগে অবশ্যই বর্তমান ঢাবি ভিসি’র নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তার পদত্যাগ করা উচিত। ঠিক একই কারণে রাতের আঁধারে সেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভিসি’র চিরকুটে যে অবৈধ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদন করেছেন তাদেরকেও বরখাস্ত করা উচিত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা জানি জনগণের প্রকৃত ভোট হলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সরকার গঠন করতে পারতেন না। ঠিক একইভাবে ঢাবি ভিসি’র অবৈধ আনুকূল্য, পক্ষপাতিত্ব ও জাতীয় নির্বাচনের মতো আগের রাতে ভোটবাক্স ভর্তি করতে না পারলে ছাত্রলীগের পক্ষে ডাকসু ও হলো সংসদ নির্বাচনে কোনোক্রমেই একটি পদেও জয়লাভ করা সম্ভব হয়ে উঠত না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গভীর রাতের বিনাভোটের সরকার দুঃশাসনের আর অবিচারে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে তুলেছে ঠিক একইভাবে অবৈধ সরকারের দাসানুদাস বর্তমান ঢাবি ভিসি’র নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও একটি অকার্যকর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চলেছে; যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
কেএইচ/এসএইচএস/এমএস