মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটায়
‘পাকিস্তান কখনোই বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনায় ছিল না। তার রাষ্ট্রভাবনা জুড়ে ছিল বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি, যা তার নেতৃত্বে ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে একটি রাষ্ট্রের ভূখণ্ড থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের নজির সৃষ্টিকারী দেশ।’
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকার বাংলাবাজার চত্বরে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীই শুধু পরাস্ত হয়নি, পাকিস্তানের সমর্থক কোনো-কোনো বৃহৎ ও পরাশক্তিও পরাজয় বরণ করে। স্নায়ুদ্ধকালীন বিশ্ব রাজনীতির বিবাদমান পরিবেশ-পস্থিতিতে ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত দেশি-বিদেশি মহল বিশেষ এক গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে, যার নির্মম শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের উপস্থিত সকল সদস্য। অতএব ওই হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং এটি আদৌও ঠিক নয় যে, একদল বিপথগামী সেনাসদস্য এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।
উপাচার্য আরও বলেন, জাতির পিতাকে খুনিচক্র হত্যা করতে সমর্থ হয় বটে, তবে তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জাতির পিতার আদর্শের মৃত্যু নেই এবং তার নির্দেশিত পথ ধরেই আজ বাংলাদেশ তার রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্নপূরণে জাতি দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্ব এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এমএইচএম/এমএআর/পিআর