ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

চামড়া শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পশুর চামড়া রফতানি করে যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে। একটা সময় পাট শিল্প ধবংস করা হয়েছে, এবার চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, তার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিলে ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার সুদূর প্রসারী যে ষড়যন্ত্র, সেই কাজ এই সরকার বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। তারা (সরকার) যে শুধু জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে তা নয়, এ দেশকে পরনির্ভরশীল করার জন্য সেই চক্রান্তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে খালেদা জিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি যদি বাইরে থাকতেন তাহলে দেশের অর্থনীতিকে যে পরনির্ভরশীল করে ফেলা হচ্ছে, অর্থনীতিকে ফোকলা করে ফেলা হচ্ছে- সেটা সম্ভব হতো না।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু হচ্ছে রাজপথে। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে জনগণকে সংগঠিত করেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, একজন গৃহবধূ যিনি রাজনীতি সম্পর্কে একেবারেই অনভিজ্ঞ ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন তার ওপর এসে পড়েছে তখন তিনি (খালেদা জিয়া) সেই দায়িত্বকে সত্যিকার অর্থেই বাস্তবায়িত করার জন্যে তিনি সমগ্র সময় তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। এই নেত্রী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে শুধু কারাবরণই করেননি তার সবচেয়ে প্রিয়জনদেরকে হারিয়েছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃ প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পরে যখন সবাই মনে করেছিল, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের বিরোধী মনে করছিলো যে, এবার বিএনপি ধবংস হয়ে যাবে, শেষ হয়ে যাবে, এটা আর দাঁড়াতে পারবে না। তখন খালেদা জিয়া এসে বিএনপির পতাকাকে তুলে নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছিলেন।

দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস

আরও পড়ুন