‘নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী বিএনপি’
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি দল বলছে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মতো আন্দোলন বিএনপি করতে পারছে না- এরকম প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিষয়গুলো আপেক্ষিক না। মুক্ত হওয়ার মতো আন্দোলন আপনি…। ফ্যাসিস্ট সরকার যখন থাকে তখন সেই মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন কী জ্বালাও-পোঁড়াও করে সব পুঁড়িয়ে দিতে হবে নাকি? এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা আওয়ামী লীগের মধ্যে আছে যা এটা তারা চাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়মের মধ্য দিয়ে চেষ্টা করছি। জনগণ যদি মনে করে যে, তারা অন্যভাবে দেখবেন- সেটা জনগণের ব্যাপার।’
সরকার পক্ষ বলছে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার মতো বিএনপি চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না- এরকম প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘সরকার যখন মনে করে চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া তারা কোনো ন্যায়ের কাজ করবে না। তখন তো ওইটা ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। ইট ইজ এ রেসপনসিবিলিটিজ দ্যা গর্ভমেন্ট তাকে ডেঙ্গুর কাজ করতে হবে, বন্যা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, কৃষি পুর্নবাসন কর্মসূচি করতে হবে। আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবক্ষেত্রে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, তাহলে আপনার সরকারই উস্কানি দিচ্ছে ভিন্নপথে যাওয়ার। যেটা আমরা মনে করি একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য কখনোই ভালো নয়।’
বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ আপাতত স্থগিত রয়েছে উল্লেখ করে ঈদের পরে তা আবার শুরু হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
এ বি সিদ্দিকীর করা মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এটাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি-ইটস বোল্ড ফরম ব্লু। আসলে এ ধরনের ঘটনায় মামলা একটা আসবে আমরা চিন্তাই করতে পারিনি। মামলাটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা-বানোয়াট। আমার কাছে মামলার কপি আছে। এখানে সাম এ বি ছিদ্দিকী, তাকে আমি কোনোদিন দেখিওনি। যদিও তিনি ইতিপূর্বে ৩/৪টা মামলা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া জিয়ার বিরুদ্ধেও পাঁচটি মামলা করেছে। তিনি (এ বি ছিদ্দিকী) কী জননেত্রী পরিষদের স্বঘোষিত সভাপতি এবং তার কাজই হচ্ছে এ মামলাগুলো করা এবং দ্যা ইজ এ প্রফেশন।’
তিনি বলেন, ‘এ মামলাটা যেটা, দেখলাম যে ওয়ারেন্ট হয়ে গেছে। দ্যা ওয়াজ সারপ্রাইজিং। এর আগে যেসব মামলা হয়েছে সেটাতে থানা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার (আদালত) কনগিজেনসে নেয়নি। এই প্রথম দেখলাম যে, মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়ে গেল। মামলার কাগজে আমাদের নাম কোথাও নেই। আমি বিস্মিত হয়েছি যে, সে ক্ষেত্রে আদালত আমাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আমরা হাইকোর্টে গেছি। হাইকোর্টও জিনিসটাকে আমরা বুঝলাম না, আমাদের মাথার মধ্যে এখনা পরিষ্কার না-এটাকে সেভাবে না দেখে আমাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় যেটা মনে করি যে, এ ধরনের মিথ্যা মামলা তৈরি হয় সেটার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক যে কার্যক্রমগুলো আছে তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। দেশে এমন একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা কোনো কারণ ছাড়াই।’
ফখরুল বলেন, ‘ওই মামলাটি (এ বি ছিদ্দিকী) করা হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমরা বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। বিশেষ করে বিচার বিভাগের বিষয়টা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।’
কেএইচ/এএইচ/এমকেএইচ