ডেঙ্গু দমনের নামে ফটোসেশন জনগণের সঙ্গে পরিহাস মাত্র : ন্যাপ
ডেঙ্গু দমনের নামে সরকারের মন্ত্রী ও মেয়রদের ফটোসেশন জনগণের সঙ্গে পরিহাস বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিটা এবার দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা আড়াল করতে কয়েক মন্ত্রী ব্যস্ত শুধু গলাবাজিতে, কেউ ব্যস্ত শুধু রোগী আর হাসপাতাল পরিদর্শনে। দুই মেয়র ফগার হাতে ফটোসেশন করে যাচ্ছেন। এক মেয়র তো সিনেমার লোকজনদের নিয়ে শুকনা সড়কে ঝাড়ু হাতে ফটোসেশন করে ফেসবুকে হাসির খোরাক যুগিয়েছেন। এই অবস্থায় জনগণ এমনকি চিকিৎসকরা মনে করেন মন্ত্রী-নেতাদের হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তৎপরতা জাহির করার চেষ্টায় বরং প্রতিদিন চিকিৎসক ও নার্সদের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে চলমান ঘটনাপ্রবাহ নির্মোহভাবে পযর্বেক্ষণ করলে ফলাফল দাঁড়াবে- আসলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এডিস মশা মারার কার্যকর ওষুধ কবে আসবে কেউ জানে না। ডেঙ্গু শনাক্তকরণের উপকরণেরও সংকট দেখা দিয়েছে। আক্রান্তরা হাসপাতালে জায়গা পাচ্ছেন না, উদ্বিগ্ন স্বজনরা হাসপাতালের একটি সিটের খোঁজে উদ্ভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক ছুটছেন। রক্ত পরীক্ষা করতেও দীর্ঘলাইন, রিপোর্ট পেতে যন্ত্রণাময় অপেক্ষা। সবমিলিয়ে দেশবাসী আজ বড়ই অসহায়।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন দেশে থাকলে ডেঙ্গু নিয়ে হয়তো এ-রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। তিনি সঠিক নির্দেশনা দিতে পারতেন, ওষুধ আসতেও এতদিন লাগত না। তাকে ছাড়া এখানে কোনো কাজই হয় না বা হচ্ছে না। তার সহযোগী বা সহকর্মীরা আসলে তাকে ছাড়া অকর্মা।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, চাটুকার দিয়ে সাময়িক খুশি হওয়া যায়, কিন্তু কাজের কাজ হয় না। রাইট ম্যান ইন দ্য রাইট চেয়ার বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি করা যাবে দেশের মানুষের মঙ্গল তত দ্রুত। আমরা বিশ্বাস করতে চাই প্রধানমন্ত্রী ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ মন্ত্রী-মেয়রদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মশা মারার ওষুধ কেনার নামে যারা কোটি কোটি টাকা মেরেছে, পতাকা কেড়ে নিয়ে তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি করবেন।
কেএইচ/বিএ/জেআইএম