আওয়ামী লীগের আয় বাড়ছেই
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আয় বেড়েই চলছে। প্রায় অর্ধযুগ ধরে আয় বাড়া দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে দলের ২০১৮ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন।
দলটির আয় ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে তাদের আয় বাড়ছে। আর জমা দেওয়ার পর দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতে দলটির ভিত্তি আরও শক্ত হচ্ছে বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর ইসির মিডিয়া সেন্টারে এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, এবার আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা। দলের তহবিলে বর্তমানে ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৭ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে প্রত্যেক বছরই আওয়ামী লীগ লাভের মুখ দেখছে। ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ আয় ছিল ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। বিপরীতে একই বছরে দলটির ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। বছর শেষে তাদের ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা উদ্বৃত ছিল।
২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। বিপরীতে ব্যয় করেছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। এর আগে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ আয় করে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় করে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। এ বছরও দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।
২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ বছর প্রায় ৬ কোটি টাকা দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।
২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা না দিলে ইসি চাইলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
আওয়ামী লীগের হিসাব জমা দেওয়ার পর নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা সাংবাদিকদের বলেন, আয় বাড়ায় দলটির ভিত্তি আরও শক্ত হচ্ছে। নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে আনন্দ।
এইচএস/আরএস/এমএস