রুমিন ফারহানার চোখে রিফাত ভাগ্যবান
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, রিফাত (রিফাত শরীফ) সৌভাগ্যবান, তার হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছে। গত এক মাসে ২২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের খুনিদের ধরতে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা দেখি না।
রোববার (৭ জুলাই) জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
দেশে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও তার বিচার হয় না দাবি করে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতায় থাকার ফলস্বরূপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীয়করণ করেছে সরকার। এদের যাবতীয় মুরদ দেখা যায় বিরোধীদলীয় কর্মীদের বিনা বিচারে হত্যা, গ্রেফতার, নির্যাতন আর কারাগারে প্রেরণের মধ্য দিয়ে।
রুমিন বলেন, দেশের কোথাও হত্যাকাণ্ড হলেই শুনতে পাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী তো নির্বাহী বিভাগের প্রধান। বিচার করার জন্য তো আছে আইন, আদালত, বিচার বিভাগ। বিচার চাইতেইবা হবে কেন? যদি পুলিশ, প্রশাসন, আদালত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলে তো বিচার চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুনিদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ অপরাধী ধরার কথা পুলিশের এবং এটা তাদের রুটিন কাজ। এ জন্য তারা জনগণের টাকায় বেতন পেয়ে থাকেন। রিফাত সৌভাগ্যবান তার হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছে। গত এক মাসে ২২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের খুনিদের ধরতে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা প্রশাসনে দেখি না।
বিএনপির এ সংসদ সদস্য বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সাত বছর পেরিয়ে গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সময় ৬৫ বার পিছিয়েছে। সম্ভবত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এমন সব ব্যক্তি জড়িত যাদের ধরার ক্ষমতা এই প্রশাসনের নেই। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ছিল বিভৎস একটি ঘটনা। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে মূল আসামিরা মৃত্যুদণ্ডের বাইরে থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে খবর আসছে, রিফাতকে (রিফাত হত্যাকাণ্ডের আরেক আসামি) বাঁচানোর জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সহ-সভাপতি অত্যন্ত তৎপর আছেন। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার ফলস্বরূপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে।
এইচএস/আরএস/পিআর