ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলন ছিল গভীর ষড়যন্ত্র!

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপি যে আন্দোলন করেছিল সেটি আসলে আন্দোলন ছিল না, আন্দোলনের নামে এটি ছিল একটা গভীর ষড়যন্ত্র। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি বুঝেই কঠোর হস্তে তা মোকাবেলা করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) আজ এই সমর্থন দিয়েছে। যে বিচার করেছে তা যৌক্তিক।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আইআরআই প্রকাশিত জরিপ নিয়ে জাতীয় সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সরকার ও বিরোধী দলের এমপিরা। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ওই জরিপের ওপর সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধির আওতায় আনীত প্রস্তাবের (ধারণ) ওপর আলোচনার সূত্রপাত করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

এরপর একে একে আলোচনায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, স্বতন্ত্র সংষদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সরকার দলীয় সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রাজনীতি ও গণতন্ত্রবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআরআইয়ের জরিপে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গত দেড় বছরে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জনসমর্থন বেড়েছে।

প্রস্তাব উত্থাপনকালে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রকাশিত জরিপের কিছু অংশ সংসদে তুলে ধরেন। জরিপে অংশ নেয়া লোকজনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন রয়েছে ৬৬ শতাংশের এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৬৭ শতাংশের। এছাড়া ৬২ শতাংশ লোক মনে করেন দেশ সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ৭২ শতাংশ মনে করেন সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা ইতিবাচক, ৬৮ শতাংশের মতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো এবং ৬৪ শতাংশ মনে করেন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে।

আলোচনার সূত্রপাত করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জ্যেষ্ঠতম ও সবচেয়ে অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্র প্রধানদের তিনি ছাড়িয়ে গেছেন অভিজ্ঞতায়। অসাধারণ প্রধানমন্ত্রী তিনি। আইআরআই যে বিচার করেছে তা যৌক্তিক।

হাজী সেলিম বলেন, বিএনপি নেতা বলেছেন রক্ত ঝরিয়ে গণতন্ত্র আনতে হবে। স্বৈরাচার থাকলে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিতে হয়; আমি তো সে অবস্থা দেখি না। রক্ত দিতে হলে, ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে দেন, তাতে দেশের জনগণের কাজে আসবে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর যে আন্দোলন বিএনপি করেছিল, সেটা আন্দোলনের জায়গায় ছিলো না, সেটা ছিলো ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝেই মোকাবেলা করেছিলেন। তাই আইআরআই আজ এই সমর্থন দিয়েছে।

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। এর কারণ হলো বিএনপি যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল তাতে অনেকেই ভীত হয়ে ভোট দিতে আসতে পারেননি। এ কারণেই ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতা, যোগ্যতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলা করেছেন। এটাই শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়ার মূল কারণ।

এইচএস/বিএ