এরশাদকে বিদেশে নেয়ার অবস্থা নেই : জিএম কাদের
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার অবস্থা নেই। তবে উন্নতির আশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এরশাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির বনানী অফিসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন। গত ২২ জুন বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সিএমএইচে নেয়া হয়।
জিএম কাদের বলেন, গত তিন দিন ধরে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তিনি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, চিকিৎসকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। তবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরশাদকে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। সিএমএইচের চিকিৎসকরা মনে করলেই পল্লীবন্ধুকে বিদেশ নেয়া হবে অথবা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাকা হবে।
আরও পড়ুন > মৃত্যুর আগেই জাপার আলোচনায় এরশাদের কবর
জিএম কাদের বলেন, এরশাদের ফুসফুসের সংক্রমণ প্রত্যাশা অনুযায়ী কমছে না। প্রয়োজন অনুযায়ী কিডনি কাজ করছে না, এ কারণে তার শরীরে কিছুটা পানি জমেছে। কিন্তু সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পল্লীবন্ধুকে আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
আগামীকাল শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জিএম কাদের।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য- সুনীল শুভ রায়, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ড. মো. নুরুল আজাহার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো. বেলাল হোসেন, মঞ্জুরুল হক, এম.এ. রাজ্জাক খান, জাকির হোসেন মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট তৈয়ব, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এরশাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা ধরা পড়ে। দুই দফায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে এলেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। এই দফায় সিএমএইচে ভর্তি হলে এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম