‘ক্ষমতার দরজা খোলা থাকলে ন্যায়বিচার জানালা দিয়ে পালায়’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, যখন ক্ষমতার দরজাটা খোলা থাকে তখন ন্যায়বিচার জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশে তাই হয়েছে। ন্যায় বিচার পালিয়ে যাওয়ার কারণে আজকে বিচারকরা ঘুম থেকে জেগে ওঠে বলেন দেশটাতো এমন ছিল না, এসব কি হচ্ছে?
তিনি বলেন, ‘আপনারা রিফাতের ঘটনা দেখেননি, তুফান সরকারের ঘটনা দেখেননি, বদরুলের ঘটনা দেখেননি, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরের ঘটনা দেখেননি, বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ড জানেন না?
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি ন্যায় বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়া’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।
আলাল বলেন, ‘কেউ যদি ফেসবুকে সরকারের সামান্যতম সমালোচনামূলক পোস্ট করে সে যদি সেন্টমার্টিনের ওই প্রবল দ্বীপের মধ্যে অর্ধেক পানিতে ডোবা অবস্থায়ও বসে থাকে তাকে এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে সাইবার অ্যাক্টে মামলা এবং সাজা হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটাকে এমন একটি প্রতিহিংসামূলক পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে যার থেকে আমাদের নতুন প্রজন্ম বের হতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’
সরকারের সমালোচনা করে আলাল আরও বলেন, ‘এ রকম বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছে, চাকরিজীবী আছে যাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করায় জেল খাটতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিহিংসা শুধু বিএনপির ওপর নয়, যারা সরকারের সমালোচনা করে তাদের ওপরেও। সরকারের বৈশিষ্ট্য হওয়া দরকার ছিল সমালোচনা যে করবে সে আমার বন্ধু। যে আমার ভুল যে ধরিয়ে দেয় সে আমার বন্ধু। কিন্তু আজকে বন্ধুদেরকে শত্রুতে পরিণত করা হয়েছে, আর শত্রুদের বন্ধুতে পরিণত করা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী সেই নীতি অনুসরণ করে চলছে বলেই স্বাভাবিক কারণেই ন্যায়বিচার এখান থেকে পালিয়ে গেছে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা হাজি মো. মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
কেএইচ/এমআরএম/এমএস