৬ মাসের কমিটি চায় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল
ছয় মাসের জন্য স্বল্পকালীন কমিটি অথবা নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ইকতিয়ার রহমান কবির বলেন, দেশের কোনো ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে গঠিত হয় না। এর মধ্যে ছাত্রদলের নেতৃত্বের বয়স অপরাপর ছাত্র সংগঠনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।
তিনি বলেন, দুই বছর মেয়াদি কমিটি পাঁচ বছর চললেও পার্টি কর্ণপাত করল না। দুই বছরের কমিটির মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ায় আমরা ছয় মাসের জন্য একটি ধারাবাহিক কমিটির আবেদন তারেক রহমানের কাছে করেছিলাম। এতে দল তার কর্মীদের বর্তমান ও ভবিষ্যতে সঠিকভাবে মূল্যায়নের পাশাপাশি বেশকিছু অসমাপ্ত সাংগঠনিক কাজ সম্পন্নের সুযোগ পাচ্ছে।
বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, আমাদের দাবি ছয় মাসের জন্য একটি স্বল্পকালীন কমিটি গঠন করা হোক। অথবা নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হোক। ২০০০ সালের এসএসসির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। কারণ ২০০০ সালে এসএসসি পাস করা একজন ছাত্রের আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তার মাত্র দুই-তিন বছর আগে ৯৮/৯৭/৯৬ সালে এসএসসি পাস করা সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকরা রয়েছেন। ৩৫-৩৬ বছর বয়সে ছাত্রদল করা গেলে ৩৭-৩৮ বছরে কেন করা যাবে না?
তিনি বলেন, এই বয়স নির্ধারণের সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সবাইকে বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের ব্যক্তিকেন্দ্রিক বয়স নির্ধারণ ছাত্রদলের লাখ লাখ নেতাকর্মী মোটেও মেনে নিতে পারছে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন বলেন, আমাদের দাবি পূরণের জন্য ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। আগামীকাল আমাদের কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সোমবার থেকে আবারও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ