ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’ বলছে জামায়াত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’ হিসেবে আখ্যা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনির্বাচিত জাতীয় সংসদে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার মোটা অংকের ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন তা বাস্তবতা বিবর্জিত। গত বছরের বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট এডিপি ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, দেশীয় ঋণ ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা, ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। বাজেটের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগই ঋণ নির্ভর। এই ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই সরকারের নাভিশ্বাস ওঠে যাবে। মূদ্রাস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশক ৫ শতাংশ। প্রকৃত পক্ষে মূদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।

শফিকুর রহমান বলেন, সরকার জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ এবং গত বছর জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.৮৬, সেটা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সরকার নানা ধরনের গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দাবি করলেও অর্থনীতিবিদরা তা মানতে রাজি নয়। এবারের জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে না।

করমুক্ত আয়সীমা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। অথচ গত কয়েক বছর যাবতই একই পরিমাণ করমুক্ত আয়ের সীমা রাখা হচ্ছে। এটা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। বাস্তবতার নীরিখে করমুক্ত আয়ের সীমা অন্তত ৫ লক্ষ টাকা হওয়া উচিত।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, সরকার গত বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এবং এবারও তা অর্জন করতে পারবে না। দেশের কর্মক্ষম বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের কোনো দিক-নিদের্শনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ধণিক শ্রেণি খুশি হলেও দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হতাশার বার্তা দিচ্ছে।

দেশের সীমিত আয়ের বৃহৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থককে প্রস্তাবিত বাজেটে উপেক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া পরে জানানো হবে।

কেএইচ/আরএস/এমকেএইচ