ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হোক : ওবায়দুল কাদের
ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ থাকুক এটাই সরকারি দলের প্রত্যাশা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমরা সংসদের ভিতরে এবং বাইরেও শক্তিশালী, দায়িত্বশীল বিরোধীদল চাই। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পাচ্ছে, বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টে সমন্বয় নেই, ঐক্য নেই। আমরা সেটা চাই না। ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হোক, তাদের মধ্যে সমন্বয় হোক, দেশে একটা শক্তিশালী দায়িত্বশীল বিরোধীদল গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য শুভ।
তিনি বলেন, বিরোধীদল যথাযথ ভূমিকা পালন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনা সরকারের প্রত্যশা, সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বন্দিত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উদ্বেগ প্রকাশ করায় আওয়ামী লীগ কোনো চাপ অনুভব করছে কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আমরা অনুভব করছি না, বিচ্ছিন্নভাবে কে, কী বলেছে। বিএনপি তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, কিন্তু ডাক্তাররা তো কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন না। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য উদ্বেগের পর্যায়ে আছে এটা আমাদের জানা নেই। মেডিকেল বোর্ডও এরকম কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার পক্ষে কিছু করতে পারেনি বলে বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষার জন্য, কর্মীদের চাঙা করার জন্য নানান কথা বলছেন। বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করতেই বেশি অভ্যস্ত এবং ব্যস্ত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বারবার বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। বিদেশিরা কখনও বলেনি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ। তারা বলেছের, বন্দি অবস্থায় যেন ভালো চিকিৎসা হয়। ভালো চিকিৎসা তো হচ্ছে, ডাক্তারদের পক্ষ থেকে তো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। শেখ হাসিনার ভালো কাজ তারা দেখতে পায় না, উন্নয়ন তাদের চোঁখে পড়ে না। কারণ হচ্ছে তারা ধরে নিয়েছে তাদের রাজনীতি হচ্ছে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা। বাস্তব অবস্থার কোনো বিচার বিশ্লেষণ তারা করছে না। আসলে তাদের পাওয়ারের চশমা দরকার। উন্নয়ন দেখার জন্য তাদের এখন পাওয়ারের চশমা দরকার। পাওয়ারের চশমা হলে হয়তবা দেখতে পাবেন।
বিএনপির নারী এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বর্তমান সংসদকে অবৈধ বলাকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারপরও তার সাহসের আমরা প্রসংশা করি যে, তিনি সংসদে এসেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম তো পাস করেও আসেননি। সংসদে এসে সংসদের বিরুদ্ধে বলুক, সরকারের বিরুদ্ধে বলুক- এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এমপি হয়ে কীভাবে তিনি (ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা) এই সংসদকে অবৈধ বললেন এর মীমাংসা সংসদ অধিবেশনে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।
এইউএ/এমএমজেড/আরআইপি