ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঈদের দিনে দুপুরে যা খেলেন খালেদা

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ০৫ জুন ২০১৯

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এবারের ঈদ কাটছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। কেবিন ব্লকের ষষ্ঠ তলায় রয়েছেন তিনি। সেখানে স্বজনদের নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছেন খালেদা।

আজ বুধবার ঈদের দিন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালেই দেখা করেন পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা। কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দেখা করার অনুমতি পেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের জন্য বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে যান তারা।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বোন সেলিনা ইসলাম, তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ভাই প্রয়াত সাইদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের ছেলে অভীক এস্কান্দার এবং ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকের মেয়ে তামান্না হক, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু এবং প্রয়াত আরাফাত রহমানের শাশুড়ি মোখরেমা রেজা। দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার এই সাত স্বজনকে বিএসএমএমইউর ছয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। দাফতরিক প্রক্রিয়া সেরে তাদের ঢুকতে দেয়া হয় খালেদা জিয়ার কেবিনে।

স্বজনরা খালেদার জন্য পোলাও, মুরুগির রোস্ট, রেজালাসহ বিভিন্ন মাছে ভাজা, দুধ-সেমাই ও মিষ্টি নিয়ে যান। এ সময় তাদের হাতে গোলাপের তোড়াও ছিল।

হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানায়, বিএসএমএমইউতে তার কেবিনে একটি চেয়ার, একটি টেবিল, একটি বেড, ড্রেসিং টেবিল রয়েছে। গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম থাকেন পাশের আরেকটি কক্ষে। এই ফাতেমাই তার সেবাশুশ্রূষা করেন।

চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও অনুমতি পাননি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের বিএসএমএমইউ শাখার সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেলিমসহ কয়েকজন চিকিৎসক ও কর্মচারী দুপুর ১২টার দিকে একটি ফুলের তোড়া দিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখতে যেতে চাইলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দেয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার স্বজনরা বিকেল পৌনে তিনটায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।

খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গত দুটি ঈদ পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি কক্ষে কাটলেও এবার কাটছে হাসপাতালে।

এসআর/এমএস

আরও পড়ুন