জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে নেবে : ফখরুল
অবিলম্বে জাতীয় সংসদের নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা স্পষ্ট করে এই সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে নতুন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে নেবে।
রোববার (২ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার (এনআরসি) আয়োজিত ‘আঁধারের সাথে দ্বন্দ্ব’ শীর্ষক স্মৃতি স্মারক ও দেয়ালিকা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
দেয়ালিকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে। ছবিগুলো সিনিয়র ফটোসাংবাদিক একে এম মহসিন এবং মো. আনিসের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনআরসির পরিচালক বাবুল তালুকদার। তবে ছবিগুলো কে তুলেছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্যের উল্লেখ ছিল না।
নতুন প্রজন্মের কাছে জিয়াউর রহমানকে ভুলভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের প্রজন্ম জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কিছুই জানে না। যে শিশুরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে, তাদের কাছ থেকে জেনেছি সেখানে জিয়াউর রহমানকে ভিলেন হিসেবে দেখানো হয়। এটা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। তার মূল অবদান হচ্ছে এ দেশের মানুষকে নিজস্ব পরিচয় দেয়া এবং এতেই বাংলাদেশ টিকে আছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সত্তা নিয়ে তারা কটাক্ষ করে, সততা নিয়েও কটাক্ষ করে। এখন আমরা শুনি বিদেশে অর্থবৃত্তের, সম্পদের পাহাড় জমা হয়েছে। বাড়িঘর হচ্ছে ৫-৬টা করে। এটা কোনো আলোচনার মধ্যে নেই।
ফখরুল বলেন, এখন অত্যন্ত দুঃসময়, একটা সংকটকাল চলছে। অনেকে এটাকে বিএনপির সংকট বলে। বাস্তবে এটা বিএনপির নয়, জাতির সংকট। জাতি তার সব অর্জন হারিয়ে ফেলছে।
তিনি বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। এখন কি আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন বলতে পারব? পারি না, কারণ বাংলাদেশ এখন নতজানু হয়ে গেছে। গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম, তা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। মূল্যবোধকেও একেবারে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ কোথায়? কিছু নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিকে টিকিয়ে রাখার, বিএনপিকে টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। সুতরাং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করাটা আমাদের জন্য ভুল হবে।
আজকে যিনি গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য কারাগারে তাকে মুক্ত করতে হবে। যারা জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসি, রাজনীতিকে ভালোবাসি, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি- আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এমএমজেড/জেআইএম