খালেদার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও ঈদের আগে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ নেতৃত্ব দেন। দলের সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমানে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে কিছু কিছু গণমাধ্যম সরকারের ইন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এমনকি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়েও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে। দলের নেতৃত্ব নিয়েও নানা রকম সংবাদ প্রকাশ করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার চেয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখে বিএনপিকে নিঃশেষ করতে, ধ্বংস করে দিতে। কিন্তু সরকারের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে, নির্যাতন করে, গুম করে, খুন করেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমানো যায়নি। বিএনপিকে ভাঙার সরকারের কোন অপচেষ্টাই সফল হয়নি।
রিজভী বলেন, গত দু’দিন আগে ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন যা চাচ্ছি তা লিখতে পারছি না। অনেক ইস্যুতে লেখা উচিত, যেমন ধরেন, গত নির্বাচন, এছাড়াও আরও ছোট নির্বাচনগুলো নিয়ে লেখা উচিত, যা লেখা ও বলা উচিত তা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লিখতে ও বলতে পারছি না। এ হলো বর্তমানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা! কিভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যে, মাহফুজ আনামের মতো দেশের বরেণ্য সাংবাদিকরাও কলম চালাতে সাহস পান না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংস্থাগুলো কার্যত গণমাধ্যমের ‘সুপার এডিটর’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমি বলতে চাই- বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছে না, বরং সরকার বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি অসুস্থ ছিলেন, আপনাকেও বিদেশে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও চুয়াত্তর বছর বয়স্ক একজন নারী, তিনি গুরুতর অসুস্থ, বিশেষায়িত হাসপাতালে আমরা তার সুচিকিৎসা দাবি করেছি। আপনারা এতটা অমানবিক যে তার চিকিৎসা নিয়েও কটাক্ষ করছেন, এমনকি আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে জামিনেও বাধা দিচ্ছেন। আমি সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই- ঈদের আগেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
কেএইচ/এনএফ/পিআর