ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ঈদের আগে খালেদার মুক্তি চান শত নাগরিক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ৩০ মে ২০১৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঈদুল ফিতরের আগেই তার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শত নাগরিক কমিটি।

সংগঠনটির দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া র্দীঘদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায়ই এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের জনপ্রিয় এই নেত্রীকে রাজনৈতিক উদ্দশ্যেপ্রণোদিত মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে নাজিমউদ্দীন রোডের জনমানবহীন পরিত্যক্ত কারাগারে এক অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে আটকে রাখা হয়।

এতে বলা হয়, ‘বর্তমানে কারাবন্দি অবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিবিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তার দুই হাত ও কাঁধে ব্যথা মারাত্মক পর্যায়ে। তার ডায়াবেটিসও বিপজ্জনক মাত্রায় রয়েছে। মুখের ভেতর সৃষ্টি হয়েছে ক্ষত। তার স্বাস্থ্যের এতই অবনতি হয়েছে যে, তিনি স্বাভাবিকভাবে খাবারও গ্রহণ করতে পারছেন না। সরকারি নিষ্ঠুরতার সীমাহীন ঔদাসীন্যে আরও নানান অসুখে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়া একর্পযায়ে নিজেই নিজের স্বাস্থ্যের অবনতির কথা আদালতকে জানাতে বাধ্য হন।’

‘এ অবস্থায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ করছি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে প্রতিহিংসামূলক সাজানো মামলা থেকে উচ্চতর আদালত তাকে জামিন দিলেও, নানা প্রকার চালাকি-চার্তুযের মাধ্যমে আরও ৩৪টি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার কারামুক্তির পথকে সংকুল করে তুলেছ সরকার। সরকাররে এই অন্যায় আচরণ একদিকে যেমন অমানবিক, অন্যদিকে তেমনি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এসব কর্মকাণ্ডের একটাই কারণ থাকতে পারে, এই মহীয়সী নেত্রীকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া। আদালতের কাঁধে সওয়ার হয়ে সরকার তাকে এক ধরনের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে আমাদের ধারণা।’

‘আমরা প্রত্যাশা করি, কল্যাণ, মঙ্গল ও শ্রেয়বোধ আমাদের অন্তরাত্মাকে জাগিয়ে দেবে। সত্য ও সুন্দরের পথে সরকার এগিয়ে আসবে। তারা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেবে’, বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মো আসাফউদ্দৌলা, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার (সদস্য সচিব), ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড.রেজোয়ান সিদ্দিকী ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর আবদুর রহমান সিদ্দিকী, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন,এরশাদ মজুমদার, এম আব্দুল্লাহ, এম এ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাদের গণি চৌধুরী, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, কামাল উদ্দিন সবুজ, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, ড. আখতার হোসেন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

কেএইচ/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন