লুটপাটের ফল এখন মসজিদের পিলার গায়েব : ন্যাপ
‘সরকারি দলের নেতাদের লুটপাট এমন স্তরে পৌঁছেছে যে এখন রাতারাতি মসজিদের পিলার গায়েব করে দিতেও তাদের কুণ্ঠাবোধ হয় না’ মন্তব্য করে এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা বলেন, বায়তুল মোকাররম ইউনিট আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহরাব হোসেন গাজীর স্ত্রীর মালিকানাধীন দোকান বড় করতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভার বহনকারী মূল দুটি পিলারের একটি এবং এর সঙ্গে যুক্ত ১৫ ফুট দেয়াল রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা কতটা অনৈতিক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ তা সবাইকে ভাবা উচিত। লুটের সীমা এতটাই নিচে নেমেছে যে মসজিদের পিলার গায়েব করে দিতেও এখন তারা কুণ্ঠিত হয় না।
রোববার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নৈতিকতা বিবর্জিত-লোভী লুটেরা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মসজিদের পিলার যথা স্থানে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
মসজিদের ভার বহনকারী পিলার ও দেয়াল ভেঙে ফেলায় যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে তারা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত ২০ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে এখনও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাহলে কি প্রশ্ন জাগে না, এ পিলার গায়েবের পেছনে ধর্ম মন্ত্রণালয় কিংবা ফাউন্ডেশনের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত?
তারা বলেন, দোকানটির ভেতরে ২৪.৭৭ বর্গফুট ব্যাসের একটি লোড বিয়ারিং পিলার ছিল। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পিলারটি অপসারণ করা হয়। এ পিলারের সঙ্গে সংযুক্ত ১৫ ফুট লোড বিয়ারিং দেয়ালটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে পিলারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে এটির সমান্তরালে উত্তর পাশে আরেকটি পিলার রয়েছে। মূলত এ দুটি পিলারের ওপরই মসজিদ ভবনটির লোড পড়েছে। পিলার ও দেয়াল অপসারণের ফলে মূল মসজিদ ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।
তারা দ্রুততম সময়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
কেএইচ/বিএ/জেআইএম