বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল শোষিত-নিপীড়িত মানুষের জন্য
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল শোষিত-নিপীড়িত মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যারা বিশ্বাস করে তারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাঁড়াবে সেটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি পরিষদ যে আদর্শিক প্রেরণায় জাতির জনককে জুলিও কুরি পদকে সম্মান্বিত করেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে সেই বার্তাটি পৌঁছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের হলরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৪৬তম বার্ষিকী উদযাপন ও জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদ প্রবর্তিত বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল ভূঞাঁ। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতকে বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক তুলে দেন প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
জুলিও কুরি বঙ্গবন্ধু শান্তি সংসদের সভাপতি প্রকৌশলী কবির আহম্মদ ভূঞাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, মোনায়েম সরকার, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, একাত্তর টেলিভিশনের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল বাবু ও প্রকৌশলী ড. আবদুল্লাহ আল মামুন।
প্রধান অতিথি হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালে ভারতে বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশের ভেতরেও এক কোটি মানুষ হয়েছিল গৃহহারা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুই কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, জাতির জনক তখনই অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলেন আমরা আজ পর্যন্ত তা পারিনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ বাংলাদেশে অনেক আগে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরকে টপকে আরও অনেক দূরে যেত।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এফএইচএস/বিএ