শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির অগ্রদূত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির অগ্রদূত বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুক্রবার এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগ যে কারণেই তাকে সভাপতি নির্বাচিত করুক না কেন, পরবর্তীতে তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব প্রমাণ করে দিয়েছে শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির অগ্রদূত। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিনটি শপথ নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। পিতৃহত্যার বিচার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার—এসবই তিনি করেছেন। শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন। দেশকে উৎকর্ষতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান, কাজ সমাপ্তের পথে। যে টানেলের কথা কখনো কেউ ভাবেনি, সেই টানেলও নির্মাণ করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে ধানের দাম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হচ্ছে, আমি জানি। আমাদের জন্য উভয় সংকট চলছে। আমরা চাই সীমিত আয়ের মানুষের জন্য দাম কম থাকুক। আবার যারা ধান উৎপাদন করেন, তারাও যেন ন্যায্য মূল্যটা পান। প্রয়োজনে ধান–চাল রফতানি করে কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখা হবে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার দেশে ফেরার তিনটি মাত্রা আছে। প্রথম মাত্রা তার নেতৃত্ব। দ্বিতীয় মাত্রা হলো তিনি না ফিরলে আওয়ামী লীগের সংকট দূর হতো না। তৃতীয় মাত্রা হলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল, সেই বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আজ যারা আইনের শাসনের কথা বলেন, তাদের নেতা খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাকিস্তানের এজেন্ট, পাকিস্তানের সহযোগী শক্তি বিএনপি–জামায়াত আবারও গণতন্ত্রের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অশুভ তৎপরতা চালিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। এ অশুভ তৎপরতা প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটাই আজকের দিনের প্রত্যয়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, তথ্যমন্ত্রী এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এইউএ/এনডিএস/পিআর