নিম্নমানের বাঁধ নির্মাণে জড়িতদের বিচার দাবি
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং নিম্নমানের বাঁধ নির্মাণে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে আন্দোলনের মধ্য তা প্রদানে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
ফণীর আঘাতে হাওরসহ সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার (৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির সভাপতি এস এম এ সবুর, ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক, সমাজতান্ত্রিক কৃষক-ক্ষেতমজুর ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ক্ষেতমজুর সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, সমাজতান্ত্রিক কৃষক ফ্রন্টের সভাপতি আলমগীর হোসেন দুলাল, বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনসার আলী দুলাল, বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির নেতা সাদিক রেজা, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে অর্থ সহায়তা পায় তা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও বিপর্যয় প্রতিরোধে অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় না করে ব্যয় হচ্ছে লুটপাট ও নানা ধরনের নগর উন্নয়ন প্রকল্পে। প্রতিবছর অতিবৃষ্টি ও অসময়ের বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ে হাওরের ফসল নষ্ট হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কারণে দুর্যোগের সময় ভেঙে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক।
নেতারা বলেন, কৃষকের জন্য অবিলম্বে পূর্ণ মাত্রায় শস্যবীমা চালু করতে হবে, তাদের কৃষিঋণ মওকুফ করতে হবে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় বিশ্ব সংস্থাসহ উন্নত দেশসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ব্যয় করতে হবে।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন হাওরের কৃষকরা। তখন স্পষ্ট হয় হাওরে বাঁধ নির্মাণসহ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দুর্নীতি। কিন্তু তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থাতো হয়নি বরং এখনও চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি। আর এই অনিয়ম দুর্নীতির খেসারত দিচ্ছে সাধারণ কৃষকদের। তাই অবিলম্বে সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তির ব্যবস্থা করে দ্রুত সঠিক মানের ফসল রক্ষা বাঁধসহ সকল বাঁধ নির্মাণ সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এফএইচএস/এমএমজেড/এমকেএইচ