‘বিজেপির চলে যাওয়া বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ’
২০ দলীয় জোটের প্রায় দুই দশকের বন্ধু ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) জোট ত্যাগের মাধ্যমে পূর্বের আশঙ্কাগুলো আবারও প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। একই সঙ্গে এটি বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সকল নীতি আদর্শ ত্যাগ করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের অল্প সময়ের ব্যবধানে যে সকল আশঙ্কার কথা উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ন্যাপ ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করেছিল গতকাল (সোমবার) জোটের প্রায় দুই দশকের বন্ধু ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) জোট ত্যাগের মাধ্যমে সেই আশঙ্কাগুলো আবারও প্রমাণিত হলো।
মঙ্গলবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ৫ মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেই বিএনপি ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দেয়। যে দল একটি অনৈতিক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের পর কোনো কোনো নেতাকে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক, বেইমান বলে উল্লেখ করে মাত্র ১২ ঘণ্টায় সেই বেইমান ও মীরজাফরদের পথ অনুসরণ করে, তারা কী করে জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করবে?
তিনি বলেন, জোট রাজনীতিতে বিএনপি কখনোই বিশ্বস্ত ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এরশাদ বিরোধী ৭ দলের নেতৃত্বে বিএনপি থাকলেও সেদিন বিএনপি তার সহযোগিদের যথাযথ সম্মান করতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে গঠিত ৭ দলের নেতাদের সাথেও বিএনপি বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিল।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, যারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে খুনি মনে করে ও বিশ্বাস করে; যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়ী করেছে এবং করে; যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপদেষ্টা থাকাকালীন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যার ফলশ্রুততে তিনি আজ জেল খাটছেন; সেই ড. কামাল গংদের পেয়ে বিএনপি তার পুরোনো মিত্রদের অবহেলা করা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, তার প্রতিবাদে ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ন্যাপ জোট ত্যাগ করেছিল। গতকাল সোমবার (৬ মে) বিজেপি সেই একই যুক্তিতে জোট ত্যাগ করে প্রমাণ করলো বিএনপি বিশ্বস্ত বন্ধু নয়। তারা নিজেরদের সুযোগ ও সুবিধার জন্য তাদের পরিক্ষিত বন্ধুদেরও ফেলে দিতেও কুণ্ঠিত হয় না।
কেএইচ/আরএস/এমকেএইচ