কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতা বিজয়কে চূড়ান্তভাবে আটকাতে পারে না
কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতা বিজয়কে চূড়ান্তভাবে আটকে রাখতে পারে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর উত্তরায় দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসভবনে স্টিয়ারিং কমিটির সভায় গৃহীত রাজনৈতিক, সাংগঠনিক প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়।
স্টিয়ারিং কমিটির রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে ২৯২ আসন লুট করার পর আটটি আসন কাউকে কাউকে দেয়া হয়। অথচ বিরোধী পক্ষের প্রায় সবাইকে হারিয়ে দিয়ে যে সাত-আটজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় তাদের মধ্যে একজন বাদে অন্যরা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের সংগামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে শপথ গ্রহণ করে। সরকার এ দ্বারা গণতন্ত্র ও ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে পরিবর্তনের আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও আওয়ামী লীগের ৫১ এমপি ও এমএলএ বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েছিল। কিন্তু এতে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় ঠেকে থাকেনি। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু এদের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দালালি আইনে মামলা ও ৪৬ জনকে বহিষ্কার করেছিলেন। এখনও দেশে যে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সাধারণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তনের আন্দোলন অবশ্যই এগিয়ে যাবে। ইতিহাসের নিয়মে এ আন্দোলনের বিজয় অনিবার্য।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, মো. সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
এইউএ/এএইচ/এমএস