প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন : খন্দকার মাহবুব
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বৈধ বা অবৈধ যাই বলি না কেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে শপথ নেয়ার সময় বলতে হয়, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুরাগ-বিরাগের ঊর্ধ্বে থাকিব।” কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যে বেফাঁস কথা বললেন, তাকে যদি অপমানজনকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এখানে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে আমি মনে করি।’
সম্প্রতি লন্ডনে খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জিয়া আদর্শ একাডেমি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার মাহবুব বলেন, 'লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্দ হয়েছেন। কারণ তারেক রহমান নাকি তার লন্ডন সফরে বাধা সৃষ্টি করেছে যে তিনি হোটেল পাচ্ছেন না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারেক রহমান যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এতে আমরা দেখতে পেলাম আগেও আমরা যা বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আটক করে রাখা হয়েছে।'
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচাতে এবং নেতাকর্মীদের জেল থেকে বের করতে হলে রাজপথ উত্তপ্ত করতে হবে।'
মাহবুব বলেন, 'আমাদের নেতাকর্মীরা যদি একবার রাজপথে নামে তাহলে লাখ লাখ জনতা রাজপথে নামবে।'
তিনি আরও বলেন,'দিন তারিখ ঠিক করে না, একবার রাজপথে নামুন হাজারো নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করুন দেখবেন এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি থাকবে না।
বিএনপির এই আইনজীবী বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া এমনি এমনি মুক্তি পাবে না। তার মুক্তি পেতে হলে সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে আর না হলে রাজপথে নামতে হবে। আসুন, যারা যারা অতীতে ছাত্র আন্দোলন করেছিলেন সে নেতাকর্মীদের ডেকে রাজপথে নামি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আজম খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কৃষক দলের আহ্বায়ক সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
কেএইচ/জেএইচ/এমএস