স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভে রিজভী
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল এ মিছিলের আয়োজন করে। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ বেলা ২টায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে কয়েকশ নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।’
মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী, উত্তরের সভাপতি ফখরল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ অংশ নেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকেই জিম্মি করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে তাকে সুচিকিৎসা না দিয়েও শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার আগুন নিভছে না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ম্যান্ডেটবিহীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে চোখের চিকিৎসা করতে গেছেন, তিনি যেতেই পারেন, অথচ যে দেশনেত্রীর দুটো চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তাকে রাখা হয়েছে কারাগারের এমন একটি কক্ষে যেখানে বালু ও সুরকি সারাক্ষণ তার চোখে পড়ে। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার মধ্যে দেশবাসীকে ফেলে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে চোখের চিকিৎসা করাতে গেছেন, এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভালো-মন্দকে তোয়াক্কা করেন না। কারণ, তিনি এবং তার সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠী জনকল্যাণকে ভ্রুক্ষেপ করে না, আর এ কারণেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর ছোবল থেকে উপদ্রুত মানুষের নিরাপত্তা বিধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করেই প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে চলে গেলেন। জনকল্যাণ নয় বরং দেশে কিংবা বিদেশে যেকোনো অনুষ্ঠানেই বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটনাই এখন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যকর্মে পরিণত হয়েছে। তার মন্ত্রী-নেতারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটুবাক্য প্রয়োগে ক্লান্তিবোধ করেন না। দেশে নারী-শিশু নির্যাতন এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, রক্ত ঝরছে কিন্তু তাতে বর্তমান অবৈধ সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। শুধু একটাই মাথাব্যথা, তা হলো- কীভাবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেশে বাকশালী রাজত্ব বলবৎ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যখন গর্জে উঠবে তখন এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার পালাবার রাস্তা খুঁজে পাবে না, আর সেই ক্ষণ আসতে আর বেশি দেরি নেই।’
কেএইচ/জেডএ/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে জামায়াত: শাহাজাহান
- ২ আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল না: ডা. শফিকুর রহমান
- ৩ শোষণের বিরুদ্ধে আর শোষিতের পক্ষে ছিলেন মওলানা ভাসানী: তারেক রহমান
- ৪ সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ সহজভাবে নেবে না: তারেক রহমান
- ৫ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা কীভাবে পেয়েছে: চরমোনাই পীর