ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

শপথ নিতে জোর-জবরদস্তি করছে সরকার : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

দলের নির্বাচিতদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে সরকার জোর-জবরদস্তি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিএনপির কোনো এমপিকে শপথ নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো চাপ নেই। তার এ বক্তব্যের পর জনগণ নিশ্চিত হয়েছে যে, ধানের শীষের প্রার্থীদের চাপ দেয়া হচ্ছে শপথ নিতে। শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার চাপে গোটা জাতি তো পাথর চাপা হয়ে প্রাণ বায়ু বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক জীবনে যেটি প্রমাণ করেছেন, তিনি মুখে যা বলবেন কাজে তার উল্টোটাই করবেন। চাপ নেই বলার একদিন পরই গত পরশু আবারও তার কথা প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবশ্যই চাপ আছে। চাপ দেয়া হচ্ছে। জুলুম-জবরদস্তি করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন : সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করলেন ফখরুল

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ধানের শীষে নির্বাচিত সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া গত পরশু তার এলাকায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছিলেন। তিনি যখন ঘোষণা দেন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেবেন না। তারপর সরকারের একটি সংস্থার কয়েকজন উকিল আব্দুস সাত্তারকে সেই সভা থেকে নিরিবিলি কথা বলার জন্য নিয়ে যেতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। ওই সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা আমাদের জানিয়েছেন, সেখান থেকে উকিল আব্দুস সাত্তার সাহেবকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তারা সফল হয়নি।’

রিজভী বলেন, ‘কেবল উকিল আব্দুস সাত্তারই নন, অন্য এমপিদেরও চাপ দেয়া হচ্ছে শপথ নিতে। ভোটারবিহীন মিডনাইটের সংসদকে বৈধ করতে বিএনপির নির্বাচিতদের জোর করে শপথ গ্রহণ করিয়ে বৈধতা পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচনই হয়নি। ভোট দিতে পারেননি দেশের ভোটাররা। জনগণ এ নির্বাচন এবং তথাকথিত সংসদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং এমপি ভাগিয়ে এনে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করে বৈধতা পাওয়া যাবে না। জনগণের কাছে ধিক্কৃত হতে হবে। এ মিডনাইট ভোটের কলঙ্ক মুছতে হলে অতি দ্রুত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।’

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে বিএনপি চলবে- কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের নিন্দা জানান রিজভী।

তিনি জানান, অনলাইন পোর্টালসহ কিছু কিছু গণমাধ্যমে ‘বিএনপি চলবে তারেকের একক সিদ্ধান্তেই’ শীর্ষক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দলের কার্যক্রম পরিচালনায় শাশ্বত গণতান্ত্রিক রীতি অনুসরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই দলের যেকোনো কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ছাড়াও প্রয়োজনে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন।

রিজভী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে দল চলবে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি।‘

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।

কেএইচ/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন