ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদার প্যা‌রো‌লে বিএনপির চেয়ে সাংবাদিকদের আগ্রহ বেশি : হানিফ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ে সাংবাদিকদের আগ্রহ বেশি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে বিএনপির সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, সাজাপ্রাপ্ত খালেদার মুক্তির জন্য জনগণ তাদের ভোট দেয়নি।

শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার প্যারোল সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড যদি বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়া প্রয়োজন এবং উনি ( খালেদা) যদি আবেদন করেন তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভেবে দেখবে।

এ ছাড়া ভুল স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি হয়তো তাকে ক্ষমা করতেও পারেন।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, মেজবা উদ্দিন সিরাজ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাহাবুর আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী জাঁকজমকভাবে সারাদেশে পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এ জন্য আটটি বিভাগের আটটি সাংগঠনিক কমিটি ইতোমধ্যে করা হয়েছে। তারা জেলাপর্যায়ে নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে ঢেলে সাজানো এবং সংগঠন কে শক্তিশালী করার বিষয়ে কাজ করবেন।

হানিফ বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কথা, ছবি, বা চিঠি থাকলে সেগুলো কেন্দ্রে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ফেনীর নুসরাত হত্যার সঙ্গে জড়িত গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যদি অপরাধ করে, ভুল করে, তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেন, তাদের শাস্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ আসে। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণিত না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া ঠিক হবে না। শুধু অভিযোগ করলেই হবে না, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে। তাহলেই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এফএইচএস/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন