‘বিএনপিকে চাপে রাখতে আদালতে দুদকের মিথ্যা আবেদন’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকে থাকা তিনটি হিসাব জব্দের নির্দেশের আদেশ করিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। সরকারের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।’
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে। এখন বিএনপিকে চাপে ফেলতে এই সরকার দুদককে দিয়ে একটি কাল্পনিক ও মিথ্যা আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে আদেশ করিয়েছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সরকার ভীত হয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ সামনে এনেছে। কারণ এখন সরকার যা বলে নিম্ন আদালত তাই করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর যদি সরকারের নির্দেশ না মেনে কোনো বিচারক ন্যায়বিচার করেন তাহলে তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়, যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ বিচারক মোতাহার হোসেন ও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, তারেক রহমানের কোনো অবৈধ অর্থ নেই। সেখানে তার যা অর্থ আছে তা যুক্তরাজ্যের রেভিন্যুতে ট্যাক্সপেইড অর্থ। সেদেশে আইনের শাসন রয়েছে, সুতরাং সেখানে আনডিসক্লোজড মানি ট্রানজেকশন হওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল’রা বারো বছর ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও তারেক রহমানের অবৈধ সম্পদের কোনো সন্ধান পায়নি। এখন দুদককে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করল।’
রিজভী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান আইনে আইনসিদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আদালতের হস্তক্ষেপের কোনো এখতিয়ার নেই। সুতরাং বাংলাদেশে যে অপরাজনীতি চলছে, এটা তারই প্রতিফলন। জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসার প্রতিফলন এটি। সরকারের মদদে দুদক আদালতকে ব্যবহার করে যে আদেশ জারি করিয়েছে সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।’
কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম