খুশি কবীর-সুলতানা কামালরা কোথায়, প্রশ্ন দুদুর
নুসরাত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই মেয়েটির জন্য সারা দেশের মানুষ কেঁদেছে। কিন্তু নুসরাতকে কে হত্যা করেছে? আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এমন কি ওসিও এদের সাথে জড়িত। ওসিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করা হয়েছে। সরকার কিছু বলতে পারে না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলতে পারে না। এরা সব সময় ভয়ে থাকে যে, পুলিশ আবার আবার কখন উল্টে দেয়। কারণ পুলিশকে দিয়ে তো ভোট ডাকাতি ও চুরি করে ক্ষমতায় আছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও অসুস্থ থাকায় তিনি আসতে পারেননি বলে জানান সভার সভাপতি বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
দুদু বলেন, শুধু নুসরাতকে হত্যা করা নয়, একটি গবেষণায় দেখা গেছে গত তিন মাসে দুই হাজারের অধিক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামে একজন নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন বেগম খালেদা জিয়া ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও শেখ হাসিনা লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন খুশি কবীর, সুলতানা কামালরা ছিলেন কি না আমার জানা নেই। মুন্নী সাহার জন্ম হয়েছিল কি না আমার জানা নেই। এসব নেত্রীরা এখন কোথায় মুখ লুকালেন ?
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনসাধারনের স্বার্থে অধিকার এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি নেবেন কেন? তিনি কি অপরাধী? এটা আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ওপর ছেড়ে দেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
দুদু বলেন, আজ যারা বিচারালয়ে বিচারক আছেন, পুলিশ আছেন আমি তাদের সমালোচনা করবো না। শুধু এতটুকু বলবো একটু বিবেক দিয়ে ভাবেন কে অপরাধী?
আয়োজক সংগঠনের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এনএফ/এমএস