নির্বাচন কমিশনকে গোপাল ভাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করলেন দুদু
বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে যদি প্যারোলে মুক্তির কাগজপত্র দেয়া হয় তাহলে আমরা বিবেচনা করব- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আপনার সরকার যদি পদত্যাগপত্র দেয়, তাহলে আমরা ভেবে দেখব আপনাদের শাস্তি জেলে হবে না জেলের বাইরে হবে।
একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে গোপাল ভাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আছে কিন্তু সেই কমিশনে বসে আছে গোপাল ভাঁড়।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র : আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দুদু বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ছিল কিন্তু এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে-এটা দাবি করা যাবে না। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, যারা ছাত্র রাজনীতি করেন তারা জানেন গণতন্ত্রের কিছু শর্ত থাকে। তার মধ্যে একটি শর্ত হলো জনগণের ভোটের অধিকার, সে অধিকারটা কেড়ে নেয়া হয়েছে।
সরকারের কড়া সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রশাসনের এত খারাপ-ন্যক্কারজনক ঘটনা গত ৪৭ বছরে আমরা লক্ষ্য করিনি। প্রশাসন-ডিসি-এসপি-ইউএনও মিলে রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে নির্বাচনে সেন্টারে যেতে নিষেধ করে এবং রাতেই ভোট শেষ করে দেয় আর নির্বাচন কমিশন বলে ইভিএম থাকলে রাতে নির্বাচন হতো না দিনে হতো। এরা মানুষ না জানোয়ার ঠিক বুঝতে পারি না।
দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ-স্বৈরতন্ত্র একসঙ্গে চালাতে চাচ্ছেন। অনেক আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১ কেজি বেগুনে ১ কেজি লবণ দেব না ২ কেজি দেব-সেটা আমার ব্যাপার। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি, ঘরে রান্না করা আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা এক জিনিস নয়- এটা বুঝতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি ইডেন কলেজে পড়েছেন, দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়েছেন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়েছি। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে-কলেজে পড়াশোনা করে তার ন্যূনতম জ্ঞান থাকা উচিত- গণতন্ত্র কী আর স্বৈরতন্ত্র কী?
তিনি বলেন, এদেশের রাজনীতি ৪০ বছর ধরে আমরা দেখছি তো। শেখ মুজিবুর রহমান কোনো ছোট নেতা ছিলেন না, যত বিতর্কই থাক তিনি খুব বড় মাপের নেতা ছিলেন। কিন্তু রহমানের (শেখ মুজিবুর রহমান) মতো নেতা বাংলাদেশ শতাব্দীতে আর একটা জন্মাবে কিনা সন্দেহ আছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বি এম শাজাহানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জিনাফ সভাপতি ও কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া, মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও কৃষক দলের সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল খন্দকারসহ প্রমুখ।
কেএইচ/এসআর/পিআর