ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৯

কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হতে পারে আজ। তবে কারা কর্তৃপক্ষ এর জন্য খালেদার সম্মতির অপেক্ষায় আছে। খালেদা যদি রাজি হন তবে আজ কেন্দ্রীয় কারাগারের বিশেষ আদালতে হাজিরা শেষে তাকে বিএসএমএমইউয়ে নেয়া হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য কেবিন প্রস্তুত করেছে ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা তাকে আজ বিএসএমএমইউয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উনাকে কারা অধিদফতরের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। উনি এখনো ‘হ্যাঁ’, ‘না’ কিছুই বলেননি। আমরা ধরে নিচ্ছি উনি আজকে বিএসএমএমইউয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, তাকে ভর্তি করা হবে কি-না তা বিএসএমএমইউ নেয়ার পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে।

তবে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার ব্যাপারে তাদের কিছুই জানায়নি। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসার আগে কারা কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন বলে তিনি জানান।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসএমএমইউয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন বেগম খালেদা জিয়া সাধারণত দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। আজ ঘুম থেকে ওঠার পর উনার সাথে আলোচনা করে তবেই হাসপাতলে আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এরআগে গত মাসের শুরুর দিকেও খালেদা জিয়াকে একবার বিএসএমএমইউয়ে নেয়ার কথা উঠেছিল। তবে খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ায় তাকে শেষ পর্যন্ত সেবার হাসপাতালে নেয়া হয়নি।

এক বছরের বেশি সময় কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হলেও খালেদাকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে তারা খুব একটা আগ্রহী নয়। বরং বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির কথা বলা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতাদের এমন চাওয়ার বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আবার খুব একটা আগ্রহ দেখানো হচ্ছে না।

এআর/এনএফ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন