ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

উন্নয়নের নামে চাপাবাজি : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৯

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীদের মুখে উন্নয়নের মহাসড়কের বুলি শুনতে শুনতে সাধারণ মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ২২তলা ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম নেই অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলে চাপাবাজি চলছে। আসলে দুর্নীতির মহাসড়কেই এ সরকার হাঁটছে বলেই সাধারণ মানুষের এতো লাশের স্তূপ।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে হতাহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান রিজভী।

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমন করার জন্য সরকার আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আসলেও আগুন নেভাতে এবং মানুষ উদ্ধারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার কোনো লেটেস্ট ডিভাইস নেই। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীদের দ্রুত পৌঁছানোর কোনো উন্নতমানের বিকল্প ব্যবস্থা নেই। আগুন নেভাতে উন্নত ও স্বয়ংক্রিয় মই পর্যন্ত নেই। সবই সেকেলে ও মান্ধাতার আমলের।’

রিজভী বলেন, ‘হেলিকপ্টারে হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে বিল্ডিংয়ের আগুন নেভাতে গিয়ে সেই বালতির সমস্ত পানি ফুটো তলানি দিয়ে ঝরে গেছে। অথচ উন্নত দেশে আগুন নেভাতে এবং মানুষ উদ্ধারে কত আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়। আগেও অসংখ্য মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পরও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে উন্নত করেনি। যদি করতো তাহলে আগুনে পুড়ে এতো মানুষের প্রাণ যেতো না।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের ফোনে আড়িপাতার জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে। গোপনে অডিও-ভিডিও করার উন্নতমানের ডিভাইস নিয়ে আসা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বাহিনীকে হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। অর্থাৎ মানুষ হত্যার জন্য ব্যয়বহুল আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে কিন্তু মানুষ বাঁচানোর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যে সরকার দাবি করে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে মহাকাশ জয় করেছে, অথচ মানুষ বাঁচানোর জন্য সেই সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। দেশের জনগণ মনে করে এ আগুনে পুড়ে মানুষগুলো মরার দায় শেখ হাসিনা সরকারের। বিশ্বের মধ্যে দূষিত শহর ঢাকা, ধুলাবালির শহর ঢাকা, ধোঁয়ার শহর ঢাকা, বসবাসের অযোগ্য শহর ঢাকা। যারা মধ্যরাতে ভোট করে তারা গণবিরোধীই হয়। সেজন্য মানুষ বাঁচাতে তারা কোনো দায়বোধ করে না।’

‘সরকার খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে’ মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ এবং উদ্বেগজনক। চিকিৎসকরা বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার সুপারিশ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, এ মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে রাজপথ শূন্য ও আওয়াজহীন থাকবে না। অধিকার বঞ্চিত মানুষ প্রতিরোধ-প্রতিশোধের জন্য এখন ফুঁসছে। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে যাবে এবং জনতার ঢল ধেয়ে গিয়ে উল্টে দেবে ক্ষমতাসীনদের সিংহাসন।’

কেএইচ/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন