ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

মানুষকে নির্বাক রাখতে নির্দয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত দেশে পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করে মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে। দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান। এমতাবস্থায় আমি আজকের এই কালো দিনে দল, মত, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান দুঃসহ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রামী অভিযাত্রায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে হবে।’

স্বৈরাচার দিবস উপলক্ষে শনিবার দলটির সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ নয় বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভীষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল।’

ফখরুল বলেন, ‘অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল।’

কেএইচ/এমএমজেড/এমকেএইচ

আরও পড়ুন