ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন জিয়া

প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৫

সাংস্কৃতিকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের দেশ থেকে বাহিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে তাদের শাস্তি না দিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দূতাবাসে ভালো ভালো চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সাধারণত হত্যাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তা না করে জিয়াউর রহমান উল্টো তাদের বিভিন্ন চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরের ইতিহাস আপনারা জানেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হল ১৯৭৫ সালে। বলা হয়ে থাকে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আমি বলবো এটা একেবারেই ভুল কথা। কিসের বিপথগামী এরা! এটা দীর্ঘদিনের একটা পরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্রের অংশ। যে ষড়যন্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ থেকেই শুরু হয়েছিল। এক পর্যায়ে মেজর জিয়াউর রহমান সেটার সাথে যুক্ত হয়েছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরের ইতিহাস আপনারা পাবেন। সেক্টর কমান্ডাররা কে কি রকম যুদ্ধ করেছেন, তার অনেক রকম বিবরণ আপনারা পাবেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের যুদ্ধের কোনো বিবরণ আপনারা পাবেন না। কি করেছেন জিয়াউর রহমান? তার বাস্তব নমুনা হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে গিয়ে যে শাহ আজিজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বলে বেড়াতো তাকে প্রধানমন্ত্রী করা, গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া, মশিউর রহমানকে মন্ত্রী বানানো। এসব কর্মকাণ্ড কি প্রমাণ করে? তা প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল তার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে একটি ব্যক্তিকে হত্যা নয় একটি প্রতিষ্ঠানকে হত্যাকরা, একটি চেতনা এবং একটি বিশ্বাসকে হত্যা করা। এবং সে হত্যাকাণ্ড তারা ২১ বছর পর্যন্ত চালিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তারা শেখ হাসিনা এবং জয়কেও হত্যার চেষ্টা করেছে। কেন এই পরিবারটির প্রতি তাদের এতো আক্রোশ। কারণ তারা মনে করে এ পরিবারটিকে নিঃশেষ করতে পারলে একটি আদর্শের হত্যা করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি এখন সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। আমাদের দেশটি এখন নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশ। না খেয়ে থাকে এমন লোক এখন নেই। তবে দারিদ্র্য রয়েছে। আর সে দারিদ্র্য মোকাবেলার মহা সংগ্রামে যু্ক্ত হয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কারণ উন্নয়নের জন্যেই আমাদের এই সরকার।

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আজিম, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

এমএইচ/একে/এমআরআই