গণআন্দোলন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব : জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, সম্মিলিত ও জাতীয়ভাবে গণআন্দোলন করতে হবে। তাছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।
শনিবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ হল রুমে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে। এছাড়া ভোট লুণ্ঠন ও ভোট ডাকাতি হচ্ছে। এই অবস্থায় মওলানা ভাসানী বেঁচে থাকলে যা করতেন, আমাদের তাই করতে হবে। তিনি যেভাবে চিন্তা করতেন সেভাবে চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে মওলানা ভাসানীর একটি স্মৃতিসৌধ করতে চেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বেশি দিন বাঁচেননি। তবে তার দল এখনও বেঁচে আছে। বিএনপি যদি জিয়াউর রহমানকে সম্মান করে, তাহলে তার কথাকেও সম্মান করা উচিত। বিএনপির উচিত প্রতি বছর মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করা। বিএনপি যত বড় দলই হোক না কেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা একলা চলতে পারবে না।
ডাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদল পাঁচ নম্বরে চলে এসেছে। এত বড় একটা দল তারা পাঁচ নম্বরে চলে আসল। এত অহংকার ভালো নয়। ছাত্রদলের উচিত ছিল ছাত্র ইউনিয়ন, সাধারণ ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যোগ দেয়া। অনেক সময় পিছিয়ে আসতে হয়। অন্যের নেতৃত্ব মেনে নিতে হয়। তাহলেই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা মাওলানা ভাসানীকে ভুলে গেছি। তার আদর্শকে ভুলে গেছি। তিনি ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বলেছিলেন, ভারত থেকে সাবধান। কিন্তু আমরা বর্তমানে ভারতের দালালি করি। ভারতের দালালি বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে দেশে বড় বিপদ আসবে।
সভায় সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আখতার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান মনি, হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
কেএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম