ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তুলনা করে খালেদাকে ছোট করেছে বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির আবাসিক নেতা প্রতিদিন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিং করে যাচ্ছেন। নিজেদের যদি লজ্জাবোধ থাকে, তবে ডাকসু নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ থাকতে পারে না। একই সঙ্গে, খালেদা জিয়াকে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তুলনা করে বিএনপি তাকে অসম্মান করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও অগ্নিঝরা মার্চ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে ছাত্রদের। এটা নিয়ে মূল দলের যে মাথা ব্যথা থাকবে, সেটা আমার জানা ছিল না। বিএনপির অফিস থেকে দলটির আবাসিক নেতা প্রতিদিন এটা নিয়ে ব্রিফিং করে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছে, এটা ছাত্রদের নির্বাচন না-বিএনপির নির্বাচন। প্রতিদিন ব্রিফিং করে কোথায় কী হচ্ছে, কার কী সমস্যা হচ্ছে- এগুলো ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন। নিজেদের যদি লজ্জাবোধ থাকে, তবে আমার মনে হয় ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথাবার্তা বলার আর সুযোগ থাকতে পারে না।’
হানিফ আরও বলেন, ‘বিএনপির এই আবাসিক নেতা প্রায়ই অসংলগ্ন কথা বলেন। কয়েকদিন আগে বেগম খালেদার চিকিৎসা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তারা ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমি অবাক হয়ে যাই, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল সেই দলের নেত্রীর সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায়ীর তুলনা করেছেন! ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তুলনা করলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্মান এবং অবস্থানটা কতটা নিচে নামিয়ে আনা হয়, তা যদি এই আবাসিক নেতা বুঝতেন, তাহলে এ ধরনের উপমা দিতেন না। আমি আশা করব, এই আবাসিক নেতা ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে নিজেদের মর্যাদা নষ্ট করবেন না।’
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘গত পরশু (১১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর নির্বাচন হলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে আমি আনন্দিত হয়েছিলাম যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা কিছু অভিযোগ শুনেছিলাম। সব অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করে নির্বাচন হয়েছে এবং যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। ধন্যবাদ জানাই ছাত্রলীগের সভাপতিকে। যিনি নির্বাচিত ভিপিকে বরণ করে নিয়ে প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রসংগঠন।’
জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের এজেন্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করেছিলেন, সেই খুনিদের পুরস্কৃত করে এবং তাদের বিচার না করে জিয়াউর রহমান প্রমাণ করেছিলেন, তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। তিনি পাকিস্তানের ধারণায় বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল চক্রান্তকারী হিসেবে তিনি নিজেকে তুলে ধরেছিলেন।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
এইউএ/এসআর/এমকেএইচ