নুর ছাত্রলীগেরই অংশ : দুদু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবন থেকে নির্ধারিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নুর ছাত্রলীগেরই অংশ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। নির্বাচনের এ ফল প্রথমে মেনে নেয়নি ছাত্রলীগ। তাদের অভিযোগ ছিল নুরের শিবির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ডাকসুতে কোনো নির্বাচন হয়নি মন্তব্য করে দুদু বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন তো হয়নি। এখানে আবার ভোটের সংখ্যা কী? কে বেশি, কে কম, কার কতো ভোট এসব আলোচনা কেন? ভোট তো হয়নি, প্রধানমন্ত্রী যা চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (গণভবন) যা চেয়েছে, তাই হয়েছে। এটা কি আমাদের সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়, এটা কি বায়ান্নোর আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়, এটা কি ঊনসত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়, একাত্তরের বিশ্ববিদ্যালয়, নব্বইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়? এটা এখন শেখ হাসিনার আমলের বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সর্বশেষ যত বড় মিছিল করেছে এত বড় মিছিল ছাত্রলীগ কি করতে পেরেছে? ১২ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল যত বড় মিছিল করেছে ১২ বছর ছাত্রলীগ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না পারতো তাহলে ছাত্রলীগ নামের কোনো সংগঠনই থাকত না।’
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নুরকে আনা হয়েছে এটা নিয়ে এত সম্মান করার কিছু নেই। এটা ছাত্রলীগেরই একটা অংশ। সকালে এক কথা বলে, দুপুরে এক কথা বলে, বিকেলে আরেক কথা বলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমরা ছিলাম যা বলেছি তাই করেছি। নব্বইয়ের আগে ডাকসু নির্বাচনে কারা জিতেছিল? ছাত্রদল। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকতে দেয়া হয়নি। যারা সর্বশেষ ডাকসুর পদে ছিল, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ বছর ঢুকতে দেয়া হয়নি।
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম, আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আব্দুর রাজি প্রমুখ।
কেএইচ/এনএফ/এমকেএইচ